শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কুয়াকাটায় ২দিন ব্যাপী শিক্ষক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত বরিশালে নারীপক্ষের আয়োজনে তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে জেলা প্রশাসকের শুভ আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা বাউফলে জেলেদের মাঝে (বিজিএফ) এর চাল বিতরণে অনিয়ম স্বল্পমূলে তৈরিকৃত ১৯২ জন জেলেদের মাঝে লাইফবয়া বিতরণ পটুয়াখালী র‍্যাব ক্যাম্পে,ঘুমন্ত অবস্থায়  র‍্যাব সদস্যর মৃ/ত্যু কলাপাড়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে ইউএনও’র মত বিনিময় বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ স্কুল শিক্ষকসহ আহত-৩ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫ কলাপাড়ায় বৌদ্ধবিহার গুলোতে উদযাপিত হচ্ছে প্রবারনা পূর্ণিমা কুয়াকাটা সৈকত থেকে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত ম/র/দে/হ উদ্ধার মহিপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের টিন ও নগদ টাকা প্রদান সাংবাদিকদের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বাউফলে এক গৃহবধূর গর্ভে এক সঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্ম পটুয়াখালীর গলাচিপায় র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে ১২শ কেজী পলিথিন জব্দ,
‘চাকুরি’

‘চাকুরি’

Sharing is caring!

বিধান সরকার : খবরটি রাষ্ট্র হলো। মাসিক সমন্বয় সভায় হৈ চৈ হলো বেশ। এমনটা হলে আর চলে কি? ছগির মাষ্টার আমাগো ইজ্জত মারছে। এসময় একজনে বলে ওঠে-
একটা আর দুইডা, দশটা ছাড়াইছে। হালায় পারেও বেশ। আর মাগি গুলোয়ায় অর পানে দেখছেটা কি!
পাশ থেকে আরেকজনে টিপ্পনি কাটে-
কাউরে কৌশলে আটকায়, স্কুল করা লাগবো না, ছুটি ছাটা দেয়। আবার কাউরে শুনছি ধার বা নগদ টাকাও গুঁজে দেয়। এমন কইরা বাগে আনে ছগিইর‌্যা।

সবাইকে শান্ত করে শিক্ষা কমিটির সভাপতি জানতে চায়-
আজকের ঘটনা কি নিয়ে?

নেতা গোছের একজন বর্ণনা করেন-
এক সন্তানের জননী ওই শিক্ষিকার স্বামী ব্যাংকে চাকুরি করেন। সুখের সংসার। শুরুর দিকে দেখেছি স্বামী বেচারী স্ত্রীকে হোন্ডাযোগে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তবেই তার কর্মস্থলে ছোটেন। ওরপর বাচ্চাটা যখন হাঁটা শিখল তখন ওকে সঙ্গে নিয়ে মোটরবাইকে পৌঁছে দিতেন নিয়মিত। কিন্তু মাস ছয়েকের পর এমন দৃশ্য অনুপস্থিত। একদিন দেখি ওই শিক্ষিকা টেম্পুযোগে সন্তান সমেত স্কুলের পানে যাচ্ছে। কৌতুহল নয়; ওপথে আমারও নিত্য আসা-যাওয়া তাই চোখে পড়ত। নেপথ্যের ঘটনায় জানতে পেয়েছি, টেম্পু যোগে যাতায়াতের কোন একদিন ছগিরের সাথে পরিচয়। খুচরো আলাপ থেকে মুঠোফোনের নাম্বার বিনিময়। ব্যাস্ আর যায় কোথায়? অবশেষে একদিন শিক্ষিকাকে ছগির ওর স্কুলে বদলি হয়ে আসার প্রস্তাব দেয়। সুযোগ-সুবিধা পাবে বেশ, আর ক্লেশ করে এসে নিত্য ক্লাশও করাতে হবে না। তবে তিন বছর পাড় না হলে এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে যাবার নিয়ম নাই যে, একথা তুলতে ছগির সব ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেয়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, এ আমার এখতিয়ারের বাইরে। তাই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ওই শিক্ষিকাকে ছগির তার স্কুলে নিয়ে নেয়। বেচারি দম নিয়ে তার পরের ঘটনা বলে-
ছগিরের সাথে তার স্কুলের আরো এক শিক্ষিকার আগে থেকেই দেহ বিনিময় হচ্ছিল। বয়স নতুন শিক্ষিকার চেয়ে বছর আটেক সিনিয়র। তার বুকের ছাতি আর পেছনের গড়নও কম যায় না। তবে নতুন শিক্ষিকার চেহারায় আলাদা আর্ট আছে। চিকন ভ্রু, আখিঁ যুগলের চাহনি বাণের চেয়ে কম নয় বৈকি। দাঁতের বুনো পাটি আর তীর্যক হাসি অন্যদের ছাপিয়ে যায়। একহারা গড়ন ছগিরের মনে আগে থেকেই ঝড় তুলে আছে। দেওয়া কথা সে ঠিক রেখেছে। নতুন শিক্ষিকাকে অত করে ক্লাশ নিতে হয়না, স্কুলেও নিত্যদিন আসার প্রয়োজন পড়ে না। এনিয়ে অন্য শিক্ষিকারা নালিশ জানালেও প্রধান শিক্ষক ছগির কিছুই বলে না। একযোগে দু’জন সঙ্গী জোটায় টাইমও বদলে নেয়। পুরানো শিক্ষিকার সাথে স্কুল ছুটির পরে মিলিত হতে থাকে। আর নতুন শিক্ষিকার সাথে স্কুল শুরুর আগেই কাজ সেড়ে ফেলে। এমনি করে মাস ছয়েক যেতেই পুরাতন শিক্ষিকার প্রতি কেমন যেন অনীহা এসে ধরা দেয়। সঙ্গমের সময় যতই নিজেকে মেলে ধরে আরো বেশি করে সুখানুভূতি পেতে চায়, তা ছগির যেন আগের সেই বুনো স্বভাব থেকে পিছিয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। জননেন্দ্রিয় লেহন করেনা, নিচ থেকে চেপে ধরলে হাঁপিয়ে ওঠার ভাব করে।
বর্ণনার এই সময়ে শিক্ষা কমিটির সভাপতি থামিয়ে দেন। বলেন-
কি সব বলো ? হল ভর্তি লোক। নারী সদস্যরা উপস্থিত যে!

এসময় পাশ থেকে আরেক জন বলে ওঠে-
সভাপতি সাহেব, আপনিতো শুনছেন কেবল, আর যারা অমন ঘটনা নিজ চোখে দেখেছে, উলঙ্গ অবস্থার ছবি তুলেছে? তাদের আবার টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে। তা বল্লে আর দোষের কি? ওনারে বলতে দেন। ওই ক্ষুব্ধ শিক্ষিকাইতো এসব কথা আমদের কাছে বলেছে। কি রকম করে ছগির বছরে পর বছর তার সাথে কাজ সারছে। তাই পুরো ঘটনা না শুনলে বিচার করবেন ক্যামনে?

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD